আঠারো বছর বয়স

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - বাংলা - সাহিত্যপাঠ | | NCTB BOOK

আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ 

স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, 

আঠারো বছর বয়সেই অহরহ 

বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি ।

[ আঠারো বছর বয়সের নেই ভয় 

পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, 

এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- 

আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা ।

এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য 

বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, 

প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য 

সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে ।

(আঠারো বছর বয়স ভয়ংকর) * 

তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা, 

এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর

 এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা ।

আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার 

পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,

 দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভার

 ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ । 

আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে 

অবিশ্রান্ত; একে একে হয় জড়ো, 

এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে 

এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো 

তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি, 

এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে, 

বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী 

এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে । 

এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয় 

পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে, 

এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়— 

দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে ৷৷

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও :

এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা দুর্যোগে পথ হয় হোক দুর্বোধ্য চিনে নেবে যৌবন-আত্মা।”

রক্তদানের পুণ্য
আত্মত্যাগের মহিমা
কথা ও কাজের ঐক্য
যৌবনের দুঃসাহসিকতা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও :

আপদ আছে, জানি আঘাত আছে তাই জেনে তো বক্ষে পরাণ নাচে।

দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভার
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও :

আষাঢ়ের গিরি-নিঃস্রাব-সম কোনো বাধা মানিল না ।

Promotion